Islamic Knowledge

Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা

Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা
Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা
Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা

Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা

  • একটি সহজ পরিকল্পনা করি। যেন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সর্বোচ্চ ফায়দা হাসিল করা যায় ইনশাআল্লাহ।

১. সাহরীর পূর্বে কমপক্ষে চার রাকাত (২+২) তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা।

২. তাহাজ্জুদ আদায়ের পর ১০-১৫ মিনিট হাত তুলে দোয়া করা।

৩. দোয়ার পর ৭০-১০০ বার ইস্তিগফারের আমল করা।

৪. সাহরীতে পছন্দনীয় খাবারের সাথে কয়েকটা খেজুর রাখা। বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে এক চামচ মধু যুক্ত পারেন খাবারের তালিকায়।

৫. জামাতে ফজরের সালাত আদায় করা (বোনেরা আযানের পরপরই বাড়িতে সালাত আদায় করা)

৬. বিশেষ জরুরত না থাকলে ফজরের সালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত এবং মাসনুন আযকারগুলো করতে থাকা।

৭. ইশরাকের সালাত আদায় করে বাসায় আসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমানো (অবশ্যই দীর্ঘ ঘুম নয়)।

৮. সাধারণত ধরে নেওয়া যায় আসর পর্যন্ত যাবতীয় কর্মব্যস্ততা থাকবে। কর্মব্যস্ততার মাঝে সুযোগ থাকলে যথাসম্ভব জিকিরের সাথে থাকা। বিশেষ করে ক্ষমাপ্রাপ্তির দোয়া এবং দুরুদে ইব্রাহীম বেশি বেশি পাঠ করা।

৯. ইফতার এবং রান্নাবান্নার আয়োজনে বোনেরা অধিক সময় রান্নাঘরে না কাটানো। ইফতারের জন্য ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত এবং বাহিরের খাবার পরিহার করা। পরিবর্তে বাসায় বানানো খাবার, সুন্নাহ আইটেম এবং ফলমূল রাখা। ইফতারে কষ্টকর হলেও সুন্নাহর উপর আমল করার চেষ্টা করা।

১০. ইফতারের পূর্বে কমপক্ষে ১০ মিনিট দোয়ার জন্য বরাদ্দ রাখা। পরিবারের সবাইকে দোয়ায় শরিক করতে পারলে বেশি উত্তম হবে।

১১. ইফতারের পর ভারি খাবার গ্রহণ এবং তারাবীর পূর্বে হালকা বিশ্রাম করার ক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যালান্স করা যেন খাবার এবং বিশ্রামের জন্য তারাবীহ আদায়ে সমস্যা দেখা না দেয়। পুরুষরা মসজিদে যাওয়ার পর পরই বোনেরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় তারাবীহ আদায় করা।

১২. পুরো রমাদান জুড়ে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা।

১৩. পুরো মাস জুড়ে বেহিসাবি সদাকা করা। সদাকার ক্ষেত্রে সমস্যা বা হাজত অনুযায়ী নিয়াত করা।

১৪. ইতিকাফ বসতে পারেন শেষ ১০ দিন..

১৫. ঈদের কেনাকাটা রমাদান শুরুর পূর্বেই করে ফেলা।রমাদানকে শুধু ইবাদাতের জন্য রাখা ।

Youtube Link – https://www.youtube.com/@Shanjoyperfumes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Ramadan Planning / রমাদান পরিকল্পনা

রমাদান পরিকল্পনা

  • একটি সহজ পরিকল্পনা করি। যেন ধারাবাহিকতা বজায় রেখে সর্বোচ্চ ফায়দা হাসিল করা যায় ইনশাআল্লাহ।

১. সাহরীর পূর্বে কমপক্ষে চার রাকাত (২+২) তাহাজ্জুদ সালাত আদায় করা।

২. তাহাজ্জুদ আদায়ের পর ১০-১৫ মিনিট হাত তুলে দোয়া করা।

৩. দোয়ার পর ৭০-১০০ বার ইস্তিগফারের আমল করা।

৪. সাহরীতে পছন্দনীয় খাবারের সাথে কয়েকটা খেজুর রাখা। বিশেষ কোনো সমস্যা না থাকলে এক চামচ মধু যুক্ত পারেন খাবারের তালিকায়।

৫. জামাতে ফজরের সালাত আদায় করা (বোনেরা আযানের পরপরই বাড়িতে সালাত আদায় করা)

৬. বিশেষ জরুরত না থাকলে ফজরের সালাতের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত কুরআন তিলাওয়াত এবং মাসনুন আযকারগুলো করতে থাকা।

৭. ইশরাকের সালাত আদায় করে বাসায় আসা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ঘুমানো (অবশ্যই দীর্ঘ ঘুম নয়)।

৮. সাধারণত ধরে নেওয়া যায় আসর পর্যন্ত যাবতীয় কর্মব্যস্ততা থাকবে। কর্মব্যস্ততার মাঝে সুযোগ থাকলে যথাসম্ভব জিকিরের সাথে থাকা। বিশেষ করে ক্ষমাপ্রাপ্তির দোয়া এবং দুরুদে ইব্রাহীম বেশি বেশি পাঠ করা।

৯. ইফতার এবং রান্নাবান্নার আয়োজনে বোনেরা অধিক সময় রান্নাঘরে না কাটানো। ইফতারের জন্য ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত এবং বাহিরের খাবার পরিহার করা। পরিবর্তে বাসায় বানানো খাবার, সুন্নাহ আইটেম এবং ফলমূল রাখা। ইফতারে কষ্টকর হলেও সুন্নাহর উপর আমল করার চেষ্টা করা।

১০. ইফতারের পূর্বে কমপক্ষে ১০ মিনিট দোয়ার জন্য বরাদ্দ রাখা। পরিবারের সবাইকে দোয়ায় শরিক করতে পারলে বেশি উত্তম হবে।

১১. ইফতারের পর ভারি খাবার গ্রহণ এবং তারাবীর পূর্বে হালকা বিশ্রাম করার ক্ষেত্রে এমনভাবে ব্যালান্স করা যেন খাবার এবং বিশ্রামের জন্য তারাবীহ আদায়ে সমস্যা দেখা না দেয়। পুরুষরা মসজিদে যাওয়ার পর পরই বোনেরা ছোট বাচ্চাদের নিয়ে বাসায় তারাবীহ আদায় করা।

১২. পুরো রমাদান জুড়ে অধিক পরিমাণে কুরআন তিলাওয়াত করা।

১৩. পুরো মাস জুড়ে বেহিসাবি সদাকা করা। সদাকার ক্ষেত্রে সমস্যা বা হাজত অনুযায়ী নিয়াত করা।

১৪. ইতিকাফ বসতে পারেন শেষ ১০ দিন..

১৫. ঈদের কেনাকাটা রমাদান শুরুর পূর্বেই করে ফেলা।রমাদানকে শুধু ইবাদাতের জন্য রাখা ।