![](https://shanjoyperfumes.com/wp-content/uploads/2024/06/amber-scent.jpg)
আম্বার আসলে কি? What is AMBER? আম্বার হল ফসিলাইড রেজিন (গাছের কষ), সব গাছ থেকেই এই রেজিন পাওয়া যায় না, কনিফেরাস গোত্রের গাছের রেজিন থেকেই আম্বার পাওয়া যায়। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে রেজিন শক্ত হয় এবং পলিমারাইজেশন এবং অক্সিডেশনের মধ্য দিয়ে অ্যাম্বারে পরিণত হয়।আম্বার এবং আম্বার রেজিন কিন্তু এক নয়, এটা নিয়ে আরেকদিন লিখব ইনশাআল্লাহ।
=আম্বার বিভিন্ন রিজিওনে পাওয়া যায়, বিশেষ করে বাল্টিক রিজিওন, মায়ানমার, ডমিনিক্যান রিপাবলিক, ম্যাক্সিকো।
![](https://shanjoyperfumes.com/wp-content/uploads/2024/06/142918_shutterstock_720948082-1200x800.jpg)
=আম্বার বিভিন্ন কালারের হতে পারে, হলুদ, বাদামি, সোনালী, সবুজ এমনকি কালো।ন্যাচারাল আম্বার পলিশ করে জুয়েলারি তৈরিতে বেশি ব্যবহৃত হয়, এছাড়া নিজস্ব সুগন্ধি থাকাতে পারফিউমারিতেও ইউজ হয়, এমনকি মেডিসিন হিসেবেও ব্যবহৃত হয়।
=গাছের রেজিন যখন ফসিলাইসড হয় তখন নরম রেজিনে বিভিন্ন পোকামাকড় অথবা মাইক্রো অরগানিজম ইনক্লুসন হয়ে ফসিলে পরিনত হতে পারে (ছবি দ্রষ্টব্য) , এরকম আম্বার বিজ্ঞানীদের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কাজের জন্য।
এখন আসি, ন্যাচারাল আম্বারের স্মেল কেমন?
আসলে ন্যাচারাল আম্বারের স্মেল অনেক হালকা, স্মেল নাই বললেই চলে। তাহলে আমরা যে আম্বার আতর ইউজ করি সেটা কি ন্যাচারাল? তার স্মেলই বা কেমন? আম্বার মূলত ভ্যানিলা, প্যাচৌলি, ল্যাবডানাম, স্টাইরাক্স এবং বেনজোইন, এরকম সিন্থেটিক এবং ন্যাচারাল আম্বার উভয় উপাদান দিয়ে বানানো হয়। সিন্থেটিক আম্বারই এখন সুগন্ধি শিল্পে বেশি ব্যবহৃত হয়।আসলে আম্বার একটি কমপ্লেক্স একোর্ড, যা ওয়ার্ম, সুইট, উডি ভাইভ দেয়, যা আসলে সুগন্ধির বেইস নোটে পাওয়া যায়।
তাহলে ভেবে দেখুন তো মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে যে ন্যাচারাল আম্বার তৈরি হয়, তা কত এক্সপেন্সিভ হবে!!
আম্বার এবং আম্বারগ্রীসও ভিন্ন কিন্তু, অনেকেই গুলিয়ে ফেলে, এটা নিয়েও লিখব ইনশাআল্লাহ।